১৯৬২ সালের চীনা আগ্রাসনের কারণে বহু অগ্নি নির্বাপন কেন্দ্র স্থাপন এবং তদারকি কর্মীদের নিয়োগ করা হয়। সেই সময় থেকে পশ্চিমবঙ্গ ফায়ার সার্ভিস ধীরে ধীরে সম্প্রসারিত হতে থাকে। ২০০১ সালে ফায়ার সার্ভিস বিভাগকে পৌর বিষয়ক দপ্তর থেকে পৃথক করে একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রকের অধীনে নতুনভাবে ফায়ার সার্ভিস বিভাগ গঠন করা হয়, যার জন্য সরকারী বিজ্ঞপ্তি নং ৪৩৬-হোম (সংবিধান ও নির্বাচন), তারিখ ১৪.১২.২০০১ প্রকাশিত হয়। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গ দেশের প্রথম রাজ্য হয়ে ওঠে যেখানে ফায়ার সার্ভিসের জন্য একটি পৃথক মন্ত্রক গঠিত হয়। ২০০৫ সালে সরকারী বিজ্ঞপ্তি নং ৮২/এফএস/ও/সি-১/২ই-৪১/২০০৪, তারিখ ১০ জুন ২০০৫ অনুসারে পশ্চিমবঙ্গ ফায়ার সার্ভিসের নাম পরিবর্তন করে পশ্চিমবঙ্গ ফায়ার অ্যান্ড এমার্জেন্সি সার্ভিসেস রাখা হয়।
পশ্চিমবঙ্গ ফায়ার অ্যান্ড এমার্জেন্সি সার্ভিসেস বিভাগ রাজ্যজুড়ে মোট ১১০টি অগ্নি নির্বাপন কেন্দ্র পরিচালনা করে, যেখানে প্রায় ৫৫০ ধরনের বিভিন্ন অগ্নি নির্বাপন যান রয়েছে এবং প্রায় ৬৫০০ প্রশিক্ষিত অগ্নি নির্বাপক কর্মী প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ কাজ করেন। সম্প্রতি ময়নাগুড়ি এবং ফালাকাটা নামে নতুন অগ্নি নির্বাপন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে এবং গোবরডাঙা, আলমপুর, হরিশ্চন্দ্রপুর, ডানকুনি, নোনাডাঙা, খাতড়া, দলখোলা, রাজাহাট, এগরা, সোনারপুর, প্রগতিময়দান, ঝালদা, কাকদ্বীপ, ক্যানিং, লালবাগ, মেমারি, মিরিক ইত্যাদি কেন্দ্রীয় অগ্নি নির্বাপন কেন্দ্রগুলো শীঘ্রই স্থাপন করা হবে।
ফায়ার সার্ভিস বিভাগ নিকট ভবিষ্যতে নদিয়া জেলার কল্যাণীতে একটি ফায়ার সার্ভিস অ্যাকাডেমি স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে।